ওয়াই-ফাই স্পিড বাড়াতে যে সব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী:

আমরা সবাই ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে চাই বিভিন্ন প্রয়োজনে। এই সংযোগের জন্য আমাদেরকে সাধারণত হয় ওয়াই-ফাই না হয় সেলুলার ডাটার উপর নির্ভর করতে হয়। আর ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই হয়তো এর স্পিড নিয়ে সমস্যায় পড়েন।
বিভিন্ন কারণে ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যেতে পারে। সেই কারণগুলো বের করে সমাধান করলেই গতি বাড়ানো যায়। নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।
রাউটারের অবস্থান
ভাল সার্ভিস পেতে রাউটারটিকে বাসার মাঝামাঝি কোন ঘরে রাখুন যেখান থেকে বাসার সবকটি রুম সমান দূরত্বে রয়েছে। দেয়ালের পাশে না রাখাটাই ভালো।
রাউটার ফ্লোরের কাছাকাছি বা মাটিতে রাখা উচিৎ নয়। অর্থাৎ একে ফ্লোর থেকে কিছুটা উঁচুতে রাখতে হবে। যে কোন ফার্নিচারের উপর রাখা যেতে পারে।
কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসের কাছাকাছি রাউটার রাখা উচিৎ নয়। বিশেষ করে মাইক্রোয়েভ ওভেন, টেলিভিশন, রেডিও, কর্ডলেস ফোন, মনিটর ইত্যাদি পণ্যের কাছাকাছি রাখলে এগুলোর নিজস্ব ওয়েভ রাউটারের সিগন্যালকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই এ ধরনের যন্ত্র হতে রাউটারকে দূরে রাখুন।
দেয়াল বা অন্য কোন বাধা
প্রথমত কোন ফিজিক্যাল বাধার কারণে ওয়া-ফাইয়ের গতি কমে যেতে পারে। অর্থাৎ যে রাউটার থেকে ওয়াই-ফাই সংযোগ নেওয়া হলো সেই রাউটার এবং ব্যবহারকারীর মাঝখানে কোন দেয়াল বা অন্য কোন বাধা থাকলে তা ওয়াই-ফাইয়ের গতিকে কমিয়ে দিতে পারে। তাই রাউটার এমন জায়গায় রাখা দরকার যাতে ব্যবহারকারীরা বাধাহীন ওয়াই-ফাই পায়, যদিও এটা সবসময় সম্ভব হয় না।
দূরত্ব
রাউটার সুনির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত ওয়াই-ফাই সিগন্যাল পাঠাতে পারে। যদি এমন হয় যে ব্যবহারকারী অনেক বেশি দূরত্বে অবস্থান করতে হচ্ছে তাহলে নেটওয়ার্ক এক্সটেন্ডার বা এক্সেস পয়েন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ডিভাইসগুলো রাউটারের সিগনেল ধরে তাকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে আরও বেশি দূরত্ব কাভার করে।
সর্বশেষ প্রযুক্তি
প্রযুক্তির জগতে দ্রুত পরিবর্তন আসছে তাই তার সাথে তাল মেলাতে আমাদের দরকার সর্বশেষ প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার। Wireless-N (802.11n) এবং Wireless-AC (802.11ac) হলো সর্বশেষ ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি সমর্থিত রাউটার ও অন্যান্য ডিভাইস কেনা উচিৎ।
পাসওয়ার্ড ও সিকিউরিটি
অনেক সময় অন্য কেউ আপনার রাউটারের নেটওয়ার্কে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রবেশ করে থাকতে পারে। বাড়তি কেউ যখন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তখন ওয়াই-ফাই স্পিড কমে যায়। তাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক নিরাপদে রাখুন।
প্রয়োজনে ডিভাইস সীমিত করুন
অনলাইনে গেইম খেলা, ভিডিও চ্যাট করা, মুভি স্ট্রিমিং করানো ইত্যাদি কাজে প্রচুর ব্যান্ডউইথ খরচ হয় এবং এর ফলে ওয়াই-ফাই স্পিড কমে যায়। তাই এ ধরনের কাজের সময় ওয়াই-ফাই’তে সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া একই সময়ে কোন কিছু ডাইনলোড বা অন্য এমন কোন কাজ না করা যাতে বেশি ব্যান্ডউইথ লাগে।
এড ব্লক
ব্রাউজার এক্সটেনশনের মাধ্যমে এড ব্লক করতে পারেন। বিশেষ করে ভিডিও বা এনিমেশন এডগুলো ডাটা খরচ করায় এবং ওয়াই-ফাই স্পিড কমিয়ে দেয়।
চ্যানেল পরিবর্তন
প্রয়োজনে রাউটারের চ্যানেল পরিবর্তন করে দেখা যেতে পারে। কারণ আশপাশে যদি একই চ্যানেলে অন্য কেউ রাউটার চালায় তাহলে একই চ্যানেলে অনেক ডিভাইস সচল থাকার কারণে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে।

Comments